Best Tantrik in Bhowanipore, Astrologer Gouranga Agambagish Presented you (Ratri Suktro )
রাত্রি সুক্ত :- অনুমান করা যায় বৈদিক যুগে একদিন গভীর কাল রাত্রির দিকে অপলক ধ্যানদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ঋষি কুশিক । তাঁকে আবৃত করে হিল্লোলিত হচ্ছে গভীর কৃষ্ণ অন্ধকার । সহসা তাঁর অন্তরে উদ্ভাসিত হয়ে উঠল রাত্রির সত্য, ও তার স্বরূপ । তিনি প্রত্যক্ষ করলেন রাত্রি রুপিনী মহা শক্তিকে । চিৎকার করে বলে উঠলেন :- হে রাত্রি দেবী আপনি সর্ব দেশানুকুলে সর্বত্র বিরাজমানা । আপনি যে আসছেন তার প্রকাশ প্রতিটি মুহর্তে আমি প্রকাশ পাইতেছি, তিনি দেখছেন রাত্রি দেবী নক্ষত্র সমূহের দ্বারা প্রকাশমানা , তিনি বিশেষ রূপে দেখছেন রাত্রিদেবী সর্বশ্রী সর্ব কল্যাণ রূপ প্রদান করছেন সমগ্র বিশ্ব চরাচরে।
সর্ব প্রথম দর্শন করলেন অমর্ত্যা রাত্রিদেবী বিস্তীর্ণ নিখিল প্রপঞ্চকে অন্ধকারে পরিপূর্ণ করলেন; তারপর স্বীয় তেজ দ্বারা আবৃত করলেন নিম্ন লতা গুল্মাদিকে, এবং উচ্চ বৃক্ষাদি কে ।। আর গ্রহ নক্ষত্রাদি রূপে জ্যোতির দ্বারা ত্বমো গুন কে নাশ করলেন ।।
রাত্রিদেবী আসছেন। নিজের বোন উষাকে আলোকমালায় সুসজ্জিত করলেন, উষা দেখা দিলে রাত্রির আঁধার দূর হয়।যার প্রাসাদে আমরা সুখে দুঃখে গৃহে অবস্থান করি, পাখিরা বৃক্ষে বাস করে সেই রাত্রী দেবী আজ আমাদের প্রতি প্রসন্ন হোন।দেবীর কৃপায় গ্রামবাসীরা সুখে ঘুমায়, পশুপাখিরা সুখে ঘুমায়, দ্রুতশ্যেনাদিও সুখে থাকে ।।
মা রাত্রিদেবী, হিংসাদ্বেষ প্রভৃতিকে আমাদের কাছ থেকে দুরে রাখো, তস্কর দের ও কাছ থেকে থেকে দুরে রাখো । তার পর আমাদের ভবসাগরে ত্বরান্নিত করিয়ে দাও ।।
সকল বস্তুর ওপর ঘন হয়ে আছে কালো অন্ধকার । সেই কালো স্পষ্ট রূপ নিয়ে এসেছে আমার কাছে , ওগো উষা , ওগো রাত্রিদেবী, একে ঘুচিয়ে দাও, যেমন করে ঘুচিয়ে দাও তোমার স্তব কারীদের ঋণ ।
ওগো রাত্রিদেবী, ওগো দ্যুতিমানের মেয়ে, দুগ্ধবতী গাভীর মতো স্বচ্ছতুমি , তোমার স্তব করছি, প্রসন্ন হও।তোমার প্রসাদে আমরা শত্রু জয় করব, আমাদের স্তবস্তুতি এবং হবি গ্রহন কর ।।
রাত্রি সুক্ত
ওঁ রাত্রীব্যখা দায়তী পুরুত্রা দেব্যক্ষভিঃ । বিশ্বা অধি শ্রিয়োহধিত।।
ওর্বপ্রা অমর্ত্যা নিবতো দেব্যুদ্বতঃ । জ্যোতিষা বাধতে তমঃ ।।
নিরু স্ব্সারমস্কৃতোবসং দেব্যায়তী । অপেদু হাসতে তমঃ ।।
সা নো অদ্য যস্যা বয়ং নি তে যামন্ন বিক্ষ্ণহি । বৃক্ষে ন বসতিং বয়ঃ ।।
নি গ্রামাসৌ অবিক্ষত নি পদ্বন্তো নি পক্ষিণঃ । নি শ্রেনাস শ্চিদর্থিনঃ ।।
যাবয়া বৃকাং বৃকং যবয় স্তেনমূর্ম্যে । অথা নঃসুতরা ভব ।।
উপ মা পেপিশত্তমঃ কৃষ্ণং ব্যক্তমস্তিত । উষ ঋণেব যাতয়ঃ ।।
উপ তে গায়বাকরং বৃনীষ দুহিত র্দিবঃ । রাত্রি স্তোমং জিগুষে ।।
রাত্রি দেবী ই কালী :- স্বামী অভেদানন্দ বলেন “এই রাত্রি দেবীই পরে করালবদনা রুপী কালী নামেই প্রসিদ্ধা হইয়াছেন’’।স্কন্দপুরানে বর্ণিত আছে যে রাত্রিদেবীই ব্র্রম্ভার অনুরোধে মেনকার গর্ভে প্রবেশ করে উমার গাত্র বর্ণ ঢেকে দিয়ে তাকে কৃষ্ণবর্নায় রূপান্তর করেছেন । এই থেকে স্পষ্ট প্রমানিত হয় যে কৃষ্ণবর্না কৌশিকীই পরম বৈষ্ণবী শক্তি রূপে বৈদিক দেবী পৌরানিক পার্বতী রূপে পূজিত হয়ে আসছেন ।।
বৃহদ্দেবতায় বাগ্ দেবী কে রাত্রি, স্বরস্বতী, দেবীতারা, অদিতি, অম্বিকা, অম্বালিকাও দূর্গা রূপে পূজিত হইয়া থাকে । কাজেই এই সিদ্ধ্যান্ত করা যায় যে রাত্রি দেবী তন্ত্রশাস্ত্রোক্ত মহা শক্তি থেকে অভিন্ন । অন্য ভাবে বলাযায় যে তত্বদৃষ্টিতে বাক্, রাত্রি প্রভৃতিই তন্ত্র শক্তিমুলাধারে মহাদেবীর রুপভেদ মাত্র ।।
(বিদ্রঃ:-শাস্ত্রমূলক ভারতীয় শক্তিসাধনা নামক গ্রন্থ হইতে প্রচুর মূল্যবান লেখনি নেওয়া হইয়াছে।)
দেবী সুক্ত :-
মহর্ষি অম্ভৃনের কন্যা বাক্।তিনি ও একজনজন্মবোধি মন্ত্রদষ্ট্রী । একদা বাক্ পরাশক্তিকে আপন আত্মারূপে প্রত্যক্ষ করলেন;প্রত্যক্ষ করার পর তিনি ব্রম্ভ রুপিণী হলেন । সেদিন এক অপূর্ব আত্ম উপলব্ধিতে তার অন্তর উদ্ভাসিত হল।। তিনি তখন উচ্চ কন্ঠে বলে উঠলেন :- আমি একাদশ রুদ্ররূপে, অষ্টবসু রূপে বিচরণ করি ; দ্বাদশ আদিত্য রূপে , সকল দেবতারূপে বিচরণ করি ।আমি মিত্র ও বরুনকে উদরে এবং ইন্দ্র ও অগ্নিকে জিহ্বাতে ধারণ করি , আরঅশ্বিনীকুমারদ্বয় কে ধারন করি দুই বাহুকে ।।
আমি শত্রুহন্তা সোমকেধারণ করি, আমিই ধারণ করি ত্বুষ্টা, পূষা আর ভগদেবতাকে। যে হবির অধিকারীনি, প্রচুর হবি দিয়ে দেবতাদের কে যে তৃপ্তি সাধন করে এবং যে সোমরস প্রস্তুতকরে, এবং সেই সোমরস ভক্তি সহযোগে শোধন পূর্বক প্রজ্যলিত অগ্নিতে হবি রূপে প্রদান করে, সেই যজমানকে আমি মানসিক শান্তি ও প্রাচুর্য দিয়ে থাকি, আমি সর্বদাই ভক্তি রস সেবন করে থাকি ।।
আমি সর্ব জগতের ঈশ্বরী পরম ব্রম্ভ চৈতন্ন্য স্বরুপা , উপাসকের ধনদার্ত্রী, আমি স্বাত্মারূপে পরম ব্রম্ভকে একাত্মা রূপে প্রত্যক্ষ করেছি, আমিই সেই একব্রম্ভ।। আমি যজ্ঞার্হদের মধ্যে প্রথম স্থানীয়া।
বহুভাবে বহুবিধ প্রপঞ্চরূপে আমি অবস্তিতা, সর্বভুতে জীবভাবে প্রবিষ্টা ।।সেই জন্ন্য সর্ব দেব কুল অকাতরে আমারই ধ্যানমগ্না ।।
যে অন্ন ভোজন করে সে আমারই ক্ষুধা নিবৃত্তিঃ করে। এহেতু নিশ্বাস ও প্রশ্বাস নেয় তাও আমারই ধমনীর মধ্যে প্রভাহিত করে ।এবং যাহা কিছু করে যাহা কিছু শোনে তাহা সব কিছু আমার দ্বারা সৃষ্ঠ । আমার শক্তিতেই সব কিছু চলিতেছে ।। যারা আমাকে এই রূপ ভাবে জানে না, তারা এই না জানার জন্ন্য ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।। এখন তোমাদেরকে যা শ্রদ্ধালব্ধ সেই স্বরূপিনী ব্রম্ভতত্বের কিছু কথা শোনাইতেছি ।। দেবতাদের ও মানুষের ভক্তি আর বিশ্বাসে আমি তুষ্ঠ হয়ে , যাকে এবং যার ওপর আমার দৃষ্ঠিপ্রলুব্ধ হয় তাহাকে আমি প্রজ্ঞাবান ও ব্রম্ভতত্ব প্রদান করে থাকি ।।
আমি অপ্রবিত্ত কে পবিত্রবান করে তুলি ।হিংস্র অসুর কে বধ করার জন্য আমিই রুদ্রের ধনুকে জ্যা আরোপন করি ।আমি স্তবকারীদের জন্য সংগ্রাম করি।আমি দ্যাবা পৃথিবী অনুপ্রবিস্টা হয়ে আছি।এই ভূলোকের উপর যে পিতা দ্যৌ(আকাশ) রয়েছে তাহাকে আমি প্রসব করেছি।
সমুদ্রে(অন্তরিক্ষে) জলময় দেবশরীর হইলো আমার যোনি স্হান অর্থাত কারণভূত ব্রম্ভ চৈতন্ন্য দ্বারা নির্মীয়মান কর্মশালারূপে বিরাজমান ।এই জন্ন্যকারণাত্মিকা অর্থাৎ ব্রম্ভময়ী বলে আমি সমস্ত ভুবনজুড়িয়া চরাচর করিতে ছি । আর ঐ দ্যুলোক আমার কারণ সলীলে নিমর্জিত সর্ব্ব দেব শরীরজ তেজপুঞ্জ স্পর্শে মায়াত্মক দেহের দ্বারা স্পর্শ করিয়া আছি।।
আমিই কারণাত্মিকা রূপে বিশ্ব ভুবনের উৎপত্তি স্থল এবং আমিই স্বয়ং একব্রম্ভরূপে সমগ্র বিশ্ব চরাচরে বর্তমান।বায়ু মতো অদৃশ্য রূপে বিচরণ করি, ব্রম্ভ চৈতন্ন্যরূপে ব্রম্ভত্রে লীন হয়ে আছি। আবার স্ব মহিমায় প্রকাশ করিতেছি যে ***** আমিই এক ব্রম্ভ দ্বিতীয় নাস্তি * *