Speech By The Best Astrologer in South Kolkata (Gouranga agambagish) Call 9830265427
দেবী পূজা কি এখন আর অন্তরের পূজা নয় ?
ওঁ হ্রীং ঐং নমঃ চন্ডিকা ঐ রক্ষ রক্ষ হূং ফট্ স্বাহা
এখন পূজা নিয়ে নানান সব কথা আমরা শুনতে পাই , নানান লেখকের নানান পুথি এখন আমাদের কাছে আসে এবং সেই পুথি অথবা পুস্তক পড়িয়া আমরা অবগত হই যে এই পুজোর এই নিয়ম ,এই পুজোর এই বিধি ,এই পুজোর এই সব আচার বিচার , এই পূজা এই তিথিতে এই নক্ষত্র মেনে করতে হবে ,এই পূজা করতে গেলে এই এই উপাচারের প্রয়োজন, কিন্তু কখনো আমরা কি একবারও চিন্তা করিয়া ছি যে এই পুস্তক কোথা হইতে আসিয়া ছে , কেইবা এর রচয়িতা , যিনি এর রচয়িতা তার কি বা পরিচয় । যে সমস্ত লেখা আমরা পুস্ত্তকের মধ্যে দেখতে পাই তার কতটা সত্ততা আছে তাকি আমরা কখনো খুঁজিয়া দেখিয়া ছি কি।।
কি পূজা , কার পূজা,কখন করছি, কোথায় করছি , কি ভাবে করছি , কোন আসনে বসিয়া করছি , যে সব পূজা আমরা করি তাহা কোন তিথি , কোন নক্ষত্রে করতে হবে এই কথা কখনই কি আমরা চিন্তা করি ? কারণ আমাদের সব থেকে আগে চিন্তা করা উচিত এই যে সব মন্ত্র আমরা উচ্চারিত করি ইহা কোথা হইতে আসিয়াছে , কেউ কি কখনো ইহা চিন্তায় আনিয়াছে , কেউ কি কখনো চিন্তা করিয়া ছে যে যে সকল দেব অথবা দেবীর ধ্যান মন্ত্র আমরা উচারিত করিয়া আমরা পুজাপাঠ করি সেই ধ্যান অনুযায়ী মূর্তির বিবরণ একদম পুন্খানু পুঙ্খ ভাবে সঠিক আছে কিনা আজ এখন আমাদের ইহা চিন্তা করার সময় আসিয়াছে ।।
সবথেকে একটি জিনিস আমাদের আগে চিন্তা করিতে হবে যে আমাদের পুরান বর্ণিত যে দেবদেবীর বর্ণনা দেওয়া আছে সেই গুলো কে ঠিক ঠিক ভাবে অন্তরে স্থাপন পূর্বক সেই মত দেবদেবীর পূজা কে পরিচালনা করা ii তা না করে আমরা করি কি বেশ কিছু অতিরঞ্জিত করিয়া দৃষ্টি নন্দন ও মানুষের মন কে আকর্শিত করিবার জন্য এমন কিছু করিয়া ফেলি যাহা সমাজের চোখে বিভিষিকার রূপ ধারণ করে ফেলে , তাহাতে মানুষের মনে উপর এমন প্রভাব বিস্তার করে যে আস্তে আস্তে মানুষের মন থেকে ঈশ্বর প্রদত্ত্ব যে সু চিন্তা ধারা ক্রমশ বিলুপ্তির পথে চলিয়া যায় ।।
পূজাপাঠ, তন্ত্রমন্ত্র এই সব জিনিস হলো সম্পূর্ণ অন্তরের জিনিস , বিশ্বাস জিনিসটি ও হলো সম্পূর্ণ নিজস্য, কখনই তাহা জোর করে কারোর ভিতর প্রয়োগ করা কখনই উচিত নহে ,এই সব জিনিস হলো সম্পূর্ণ গোপনীয় ও গুপ্ত বিদ্যা। এখন বিশেষ করে দেখা যায় নানান জায়াগায় কাগজে টিভি তে ও নানান মিডিয়ার মাধ্যমে যে যে গুপ্ত বিদ্যা গুলো প্রকাশিত হয় তাহা মানব জীবনের উপর প্রচন্ড প্রভাব বিস্তার করে ।। মানুষ জন সেই সকল বিদ্যা দেখিয়া তাহারা সেই বিদ্যা কে সহজেই করায়ত করার জন্য বারং বার চেষ্টা করিতে থাকে, এবং সেই চেষ্টা করার ফলে যদি সেই কার্যে কৃতকার্য্যনা হওয়ার ফলে তাহারা আবার চেষ্টা করিতে থাকেন ,ইহার ফলে ক্রিয়া ও তার বিপরীত ক্রিয়ায় মানুষ জর্জরিত হয়ে পড়েন।। ইহাতে তাহারা বেশী মাত্রায় ক্ষতি গ্রস্তই হয়ে পড়েন ।।
কারণ এই সমস্ত বিদ্যা হলো সম্পূর্ণই গুরুমুখী , তেমন শক্ত পোক্ত গুরুদেব ও তার অতন্ত নিকটস্ত না হইয়া এই সমস্ত ক্রিয়া ও কর্ম যোগ না করাই বাঞ্চনীয় , তন্ত্রক্ত প্রকৃয়ায় দীক্ষিত গণই এক মাত্র এই সকল বিদ্যার অধিকারী ।।
দশমহাবিদ্যার দশটি বিদ্যাই হলো এই বিদ্যার অধিকারী, তত সহ শবাসন , শ্মশান চিতায় উপবেশন , আনন্দ ভৈরব ও আনন্দ ভৈরবী পূজা, কামাখ্যাতন্ত্র শাস্ত্রের যে কোনো পূজা, মহাকাল ও মহা কালির পূজা প্রভৃতি এই সকল বিদ্যাই হলো প্রকৃত তন্ত্র বিদ্যা।।
আগম, নিগম এই দুই তন্ত্রের মিলনেই এই সকল তন্ত্র বিদ্যার অধিষ্ঠান, ইহার পরেই দুই তন্ত্রের মিলিত সমষ্টিই হলো বিভিন্ন যামল তন্ত্র ,
আর এই সকল বিদ্যাকে করায়ত করতে গেলে এক একটি সাধককে এক একটি যুগ অতিক্রান্ত করতে হয় , আর কখনই এই সকল বিদ্যাকে কোনো পুস্তকের দোকানে অথবা কোনো বিদ্যালয় কিম্বা বিশ্ব- বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত করা যায় না।। কোনো উচ্চ মার্গের গুরুদেব ও এই বিদ্যা প্রদান করতেপারেননা।। কারণ এই বিদ্যা কেবলই সাধক, যিনি এইঅর্জন করার জন্য অতি গুজ্হতর বিদ্যাকে কঠিন থেকে কঠিন তম পথ অবলম্বিত করিয়া এক নিষ্ঠ সাধনার মাধ্যমে সেই কেবল মাত্র সাধকই তার তনু গত মন প্রানের মধ্যে দিয়েই এই বিদ্যাকে অর্জন করা সম্ভব
For Any Other Further Queries Please contact with the Best Best Astrologer in South Kolkata GOURANGA AGAMBAGISH . Call on 9830265427.